• "মনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন "
  • "মানসিক স্বাস্থ্য বিনা স্বাস্থ্য নেই"
  • "সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার।"
  • "মনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন "
  • "মানসিক স্বাস্থ্য বিনা স্বাস্থ্য নেই"
  • "সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার।"
  • "মনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন "
  • "মানসিক স্বাস্থ্য বিনা স্বাস্থ্য নেই"
  • "সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার।"

প্রসবোত্তর মানসিক স্বাস্থ্য

ডাঃ শাহানা পারভীন

অনলাইনসাহিত্য গ্র“পে একটি গল্প পড়ছিলাম। সদ্য মাহওয়া একজন তরুনী রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে তাঁর নবজাতকের দিকে তাকিয়ে আছেন।আর সবাই বাচ্চা কে নিয়ে আদিখ্যেতা করছে ! তাঁর দিকে কারো নজর নেই। দিন কয়েক পরে শিশুটি কেমৃত অবস্থায় তার বিছানায় পাওয়া গেল। গলায় হাতের আঙুলের ছাপ। পাশে ভাবলেশ হীন মা। সমাজের চোখে এক ডাইনীমা।
আমাদের সচেতনতা, চারপাশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা হয়ত এ ডাইনী মাকে একজন অসাধারন মমতা ময়ী মা হিসেবে পৃথিবীতে পরিচিত করতে পারত। এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝা যাচ্ছে আমি কথা বলছিলাম ইনফ্যান্টিসাইডনিয়ে।প্রসূতিদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের অন্যতম ভয়াবহ একটি পরিনতি।
যথা সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারনে পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় চারশতাংশ শিশু প্রসবপরবর্তী মানসিক রোগে ভোগা মায়ের হাতে মৃত্যুবরন করে অথবা ঝুঁকিতে থাকে।আমেরিকায় ২০১২ তে ফরেনসিক বিভাগে রঘএজও ( ঘড়ঃ এঁরষঃু নু জবধংড়হ ড়ভ ওহংধহরঃু) এর এক হিসেবমতে দেখা যায় প্রতি বছর যত শিশু এক বছর বয়সের মধ্যে মায়ের হাতে মৃত্যু বরন করে সেসব মায়েদের ৭২% আগে থেকেই মানসিক রোগেআক্রান্ত, ৪৯% ঐ সময়ে বিষন্নতায় ভুগছিলেন, ৬৯% এর কানে গায়েবি কথা (অডিটরীহ্যালুসিনেশন) শুনতেন এবং ৮২ শতাংশের সাইকোসিস অথবা আবেগজনিত রোগের সাথেসাইকোসিসের লক্ষন যুক্ত ছিল।
গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে উভয় সময়েই মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।আজ আমরা আলোচনা করব প্রসব পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। এ সময়ে সাধারন ম্যাটার নিটিব্ল“ থেকে গুরুতর মানসিক রোগের শুরু হতে পারে।

 

 

ম্যাটারনিটিব্ল“—(Maternity Blue / Post Partum Blue)-

 

প্রায় দু তৃতীয়াংশপ্রসূতিম্যাটারনিটিব্ল“তেআক্রান্ত হন। খিটখিতে মেজাজ, অল্পতেই বিরক্তি, এই হাসি এই কান্না, দ্রুত মুডপরিবর্তনহওয়া উদ্বেগ, দুঃখবোধ, মনোযোগকমেযাওয়া, ঘুম ও খাবারেরসমস্যা, ভারাক্রান্ত মনেইত্যাদি দেখাযায়।প্রসবেরতিন / চারদিনের মধ্যে লক্ষণগুলোসবচে বেশিমাত্রায় পৌছেএবং২/৩ দিন থেকে সর্বোচ্চ দু সপ্তাহেরমধ্যে আস্তে আস্তে তাচলেযায়। সধারনত কোনচিকিৎসা দরকারহয়না। 

 

প্রসবপরবর্তীমুডডিজঅর্ডারবাআবেগজনিত রোগ (Post Partum Depression)

প্রসবপরবর্তীসাইকোসিস(Post Partum Psychosis,)

উদ্বেগ জনিত রোগ(Anxiety Disorder)

খাবারের সমস্যা জনিত মানসিক রোগ(Eating disorder)

পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার(Post Traumatic Stress Disorder)

 

এছাড়াও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

 

 

প্রসব পরবর্তী বিষন্নতাঃ

বাচ্চারজন্মেরপরপর স্বল্প মাত্রারবিষন্নতাঅনেক বেশি দেখাযায়, গবেষণায় দেখাগিয়েছে৫ শতাংশেরমধ্যে প্রসবেরপরবর্তীসময়ে গুরুতরবিষন্নতা দেখাদিতেপারে।এ বিষন্নতারলক্ষনগুলোপ্রাথমিকভাবে বেবি ব্ল“ এর মতমনেহলেও এগুলোরতীব্রতা বেবি ব্ল“ থেকেঅনেক বেশি হয় এবং দীর্ঘ মেয়াদি হয়। সাধারনতপ্রসবেরকয়েকসপ্তাহেরমধ্যেইশুরু হয় তবেকখনোকখনোগর্ভাবস্থার শেষদিকেও শুরু হতেপারে। যেসবলক্ষন বেশি দেখাযায়তাহচ্ছে–
বিষন্নতাকিংবামুডসুয়িং, অতিরিক্ত কান্না, শিশুর সাথে বন্ধন তৈরিতেসমস্যা, পরিবারেরসদস্য ও বন্ধুদেও থেকে বিচ্ছিন্ন বোধকরা, খাবারেঅরুচিঅথবা অতিরিক্ত খাওয়া, ঘুমকমেযাওয়াঅথবা অতিরিক্ত ঘুমানো, শরীরে শক্তি নাপাওয়া, অল্পতেইক্লান্তি লাগা, আনন্দদায়ককাজেআগ্রহকমেযাওয়া, খিটখিটে মেজাজ ও দ্রুত রেগেযাওয়া, নিজেএকজনভালমাহতেনাপারারভয়, হতাশঅনুভবকরা, অকারণে লজ্জা ও গ্লানিঅনুভ’তহওয়া, অস্থিরতা, সিদ্ধান্ত গ্রহনেঅক্ষমতা, দৈনন্দিন কাজেমনোযোগহারিয়ে ফেলা, নিজেরবানবজাতকের ক্ষতিকরারচিন্তা, বারবারআÍহত্যারচিন্তা আসাবাআÍহত্যারচেষ্টাকরা।তবেসবারমধ্যে সব লক্ষন থাকবেতানয়।

 

 

প্রসবোত্তর সাইকোসিসঃ

যদিওএটি খুব একটা দেখাযায়না ( প্রতি ১০০০ প্রসবে ১-২ জনের হয়) ,কিন্তু কেউ আক্রান্ত হলেঅনেকজটিলতা তৈরিহতেপারে। সাধারনতসন্তান জন্ম দানেরপরপরই অর্থাৎ২/৩ দিন থেকে ২/১ সপ্তাহেরমধ্যেইসাইকোসিসেরলক্ষনশুরু হয়। হটাৎশুরু হয় এবং খুব দ্রুত অবস্থারঅবনতি ঘটে। লক্ষনগুলোসাধারণতবিভ্রান্ত (কনফিউশন)এবংস্থানকালপাত্রবুঝতেনাপারা (ডিজওরিয়েন্টেশান), শিশুরবিষয়েঅবসেশান, হ্যালুসিনেশন, ডিলিউশান, অত্যধিক শক্তি দেখানোবা অস্থিরতা, ঘুমেরসমস্যা, সন্দেহপ্রবণতা, নিজেরঅথবাবাচ্চার ক্ষতিকরার চেষ্টাএমনকিনিজেরবাচ্চাকে মেরে ফেলারমত গুরুতরভুলকাজকরেবসতেপারে।তবেআশারকথাহচ্ছেযথাসময়েচিকিৎসাশুরু হলে ৭৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই রোগীপরবর্তীকয়েকমাসেমধ্যেসুস্থ হয়েউঠেন। তবে৭০ ভাগ রোগীরপরবর্তীগর্ভ ধারনেরসময়আবারআক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

 

 

কি কারনে এমনটি হয়?

আর দশটিমানসিক রোগেরমতইএসময়েরমানসিক রোগের একক বাসুনির্দিষ্ট কোনকারন নেই।গর্ভাবস্থা বাপ্রসবেরপরেনতুনকরে যেমনমানসিক রোগ দেখাদিতেপাওে তেমনিআগে থেকে যারামানসিকসমস্যায়ভুগছিলেনতাঁদেরসমস্যাআরও বেড়ে যেতেপারে।
গর্ভাবস্থায়বাপ্রসবপরবর্তীসময়েমানসিক রোগেআক্রান্ত হওয়ায় সম্ভাব্য যেসবকারনএ পর্যন্ত জানাগিয়েছেসেসবহচ্ছে-

 

 

রমোনের মাত্রার পরিবর্তনঃ

শিশুরজন্মেরপরপরইমায়েরশরীরে ইস্ট্রোজেনএবং প্র্রোজেস্টেরননামক দুটিহরমোনেরনিঃসরন খুব দ্রুত কমেযায়ফলেতাপ্রসুতিরবিষন্নতাবাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও থাইরয়েডহরমোনেরদ্রুত কমেযাওয়ারকারনেক্লান্তিবোধ ও ধীরগতিচলেআসে।

 

 

.আবেগ জনিত কারণঃ

শিশুরজন্মেও সাথে সাথে মাকে এক নতুনপরিস্থিতির মোকাবেলাকরতে হয়। নিজের অসুস্থ্য শরীরেরপাশাপাশিনবজাতকেরখাবারনিশ্চিতকরাএবংরাত জেগে বাচ্চারযতœনিতেগিয়েমাঠিকমতঘুমাতেপারছেননা,নিজেরপর্যাপ্তপরিমানযতœ আর বিশ্রামওহচ্ছেনা।পাশাপাশিনিজের সৌন্দর্য নিয়ে উদ্বেগ,বাচ্চাঠিকমতপ্রতিপালননিয়ে দুঃশ্চিন্তা ইত্যাদিওআছে। এছাড়াও দেখাযায়অনেকসময়আশেপাশেরসবারমনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুহয়ে উঠে সদ্য ভ’মিষ্ঠহওয়াশিশুটি। তারমায়েরপ্রয়োজনবাআবেগেরদিকে অন্যদের সেভাবে দৃষ্টি দেয়াহয়না। যারফলেমাএকধরনেরএকাকীত্বে ভোগেনও বিষাদগ্রস্ত হয়েউঠেন। আবারকখনোনবজাতকেরপ্রতিঅকারনঈর্ষাএবংবিদ্বেষ তৈরি হয়। নিজেরআইডেন্টিটিনিয়েদ্বিধা-দ্বন্দে ভোগেনএবংআÍনিয়ন্ত্রনহারান।

 

এছাড়াও কিছু ঝুঁকিপূর্ন বিষয় আছে ,যেমনঃ

 

১। অতীতেকেউ যদি মানসিক রোগেআক্রান্ত থাকেনঅথবাআগেওগর্ভাবস্থায়বাপ্রসবপরবর্তীসময়েমানসিক রোগাক্রান্ত হয়ে থাকলে।
২। মানসিক রোগেরপারিবারিকইতিহাস থাকলে।
৩। আগে কোনমানসিকচাপে ভোগারইতিহাস, যেমন- অনিচ্ছুককিংবাঅপরিকল্পিতগর্ভধারন, আগেরগর্ভাবস্থায় কোনশারীরিক অসুস্থ্যতা, স্বামীবাপরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে স¤র্পকের জটিলতা, কোনধরনেরসহিংসআচরনেরশিকারহওয়া,চাকুরীস্থলে জটিলতা, আর্থিক অনিশ্চয়তা, নবজাতকেরসমস্যা, ঠিকমতমায়ের দুধপানকরাতেনাপারা, বিভিন্নসামাজিকপরিবেশেকন্যাসন্তানেরমাহওয়াইত্যাদি।প্রসবপরবর্তীতেনিকটজনের থেকে কাক্সিক্ষত মানসিক ও অন্যান্য সাহায্য নাপাওয়া।মৃৃতশিশুবাসাধারনের চেয়েভিন্নশিশুর জন্ম দেয়াইত্যাদি পরোক্ষভাবেভ’মিকাপালনকরতেপারে।


প্রভাবঃ

একজনমায়েরপ্রসবপরবর্তীমানসিকসমস্যাশুধুমাত্রতাঁরউপরিনয়বরংপুরোপরিবারেরউপরই নেতিবাচকপ্রভাব ফেলতেপারে।

 

 

মায়েরউপরঃ

যদি দ্রুতসঠিকচিকিৎসানাপানতবেমায়েরপ্রসবপরবর্তীমানসিকসমস্যা দীর্ঘায়িতহতেপারেএবংপরেরগর্ভকালীনসময়েকিংবাগর্ভাবস্থা ছাড়াওবারবারহওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তীব্র বিষন্নতাকিংবাসাইকোসিসেআক্রান্ত মানিজের জন্য যেমনঝুকিপূর্ন তেমনিবাচ্চারজন্যোহুমকি। বাচ্চারযতেœঅবহেলাথেকে শুরু করেনিজেরসন্তানকেহত্যাকরারমতভয়াবহঘটনাওঘটাতেপারেন।

 

 

বাবারউপরঃ

প্রসূতিরমানসিক রোগ, বিশেষকরেবিষন্নতারপ্রভাবতাঁর সঙ্গীর উপরোপড়তেপারে অর্থাৎতিনিওবিষন্নতায়আক্রান্ত হতেপারেন।

 

শিশুরউপরঃ

মায়েরমানসিক রোগশুধুশিশুকালেইনয়বড়হওয়ারপরেও এর প্রভাবতসন্তানেরউপর থাকতেপারে। পরর্বতীজীবনে এদেরআবেগজনিত ও আচরণগতমানসিক রোগ দেখা দেয়ার সম্ভবানা অন্য শিশুদের থেকে বেশি থাকে। অতিরিক্ত কান্না, খাবার ও ঘুমেরসমস্যা হয় এবংতাদের স্বাভাবিকবিকাশওব্যাহতহতেপারে।

 

 

প্রতিরোধঃ
যেকোন রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিকারের চেয়েপ্রতিরোধউত্তম। অর্থাৎ রোগটিযাতেনা হয় সে বিষয়ে সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেয়া।
যেমনঃআপনিযদি আগে থেকেই কোনপ্রকারমানসিক রোগেভোগেনকিংবামানসিক রোগের জন্য ঔষধ সেবনকরছেন সেক্ষেত্রে গর্ভ ধারনের পূর্বেইআপনারচিকিৎসক অর্থাৎমনোরোগবিশেষজ্ঞ ও স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যাবিশেষজ্ঞেরপরামর্শ নিবেন।

এছাড়াওগর্ভকালীনএবংপ্রসবপরবর্তীসময়ে কোনলক্ষনশুরু হচ্ছেকিনাতাপর্যবেক্ষনে রাখতেহবে।আগে থেকে কোনঔষধ পেয়ে থাকলেতাচিকিসকেরপরামর্শ নিয়েআবারকমানো/বাড়ানো/ পরিবর্তন/ বন্ধকরা যা প্রয়োজনকরতেহবে।
ঔক্ষন দেখাদিলে সাথে সাথে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞেরপরামর্শে প্রয়োজনীয়চিকিৎসানিশ্চিতকরা।
জানামতে কোনঝুঁকিপূর্ন বিষয় থাকলেতার দ্রুত সমাধানকরাপ্রয়োজন।

শিশুরবিশেষযতœঃমাযদি গুরতরবিষন্নতাবাসাইকোসিসে ভোগেন / আকারন্ত হনতবেশিশুকেবুকের দুধপানকরানোসহসার্বক্ষনিক দায়িত্বশীল অন্য কারতত্ত¡াবধানেরাখতেহবে। প্রয়োজনেমায়েরকাছ থকে আলাদা রেখেযতœনিতেহবে।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

দু সপ্তাহেরমধ্যে বিষন্নতারলক্ষনকমছেনাবরংঅবস্থাআরওখারাপহচ্ছে, নিজেরএবংবাচ্চারযতœঠিকমতনিতেঅক্ষম হচ্ছেন, নিজেকে শেষ করে দেয়ারচিন্তা বারবারআসছেকিংবাবাচ্চার ক্ষতিকরার ইচ্ছে জাগছে।
বাসায়নিয়ন্ত্রণনাকরতেপারলেপ্রয়োজনেহাসপাতালেভর্তি করতেহতেপারে।

আসুনআমরাগর্ভবতীমায়েরগর্ভকালীন ও প্রসবপরবর্তীসময়েতাঁদেরশারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়খাতেইসমানমনোযোগ দেই, সচেতনহই। মা ও শিশুর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য স্থিতিশীলরাখি।

 

 

লেখকপরিচিতি: 

ডাঃ শাহানা পারভীন
সহকারীঅধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি, জাতীয়মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।